সাকিব আল হাসান কাণ্ডে টনক নড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপন করায় সবধরনের ক্রিকেটে তাকে ২ বছর নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। ১ বছর স্থগিতসহ তার এই নিষেধাজ্ঞায় সতর্ক বিসিবি। ফলশ্রুতিতে এবারের বিপিএলে প্রত্যেক দলে একজন করে দুর্নীতি দমন কর্মকর্তা নিয়োগ দিচ্ছে তারা।
অতীতে দুর্নীতির কালো ছায়া পড়েছে বিপিএলেও। তন্মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত মোহাম্মদ আশরাফুলের স্পট ফিক্সিং। এছাড়া গেল আসরে চট্টগ্রামের ৪ ক্রিকেটারকে দল পাইয়ে দেয়ার অনৈতিক প্রস্তাব দেন চিটাগাং ভাইকিংসের লজিস্টিক ম্যানেজার শাকিল আবেদীন। সেটা ফিক্সিংয়ের পর্যায়ে না পড়লেও তাকে নিষিদ্ধ করছে বিসিবি।
তবে সাকিবের ঘটনায় সবচেয়ে বড় শিক্ষা পেয়েছে বিসিবি। বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা তাকে শাস্তি দেয়ায় নড়েচড়ে বসেছে তারা। এই ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে ক্রিকেটারদের বিরত রাখতে তাৎপর্যপূর্ণ উদ্যোগ নিয়েছে বোর্ড।
বৃহস্পতিবার বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন বলেন, বিপিএলে অ্যান্টি-করাপশন ইউনিট (এসিইউ) থাকছে। টুর্নামেন্টজুড়ে কোনো অবৈধ কিছু হচ্ছে কি না-সেজন্য নজরদারি করবে তারা। প্রতিটি দলের সঙ্গে একজন করে এথিকস কর্মকর্তা দিচ্ছি। এবার আমরা খুবই সিরিয়াস।
এসব কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়ার পুরো প্রক্রিয়া বিসিবির দুর্নীতি দমন ইউনিট স্বাধীনভাবে সম্পন্ন করবে। বোর্ড এ ব্যাপারে নাক গলাবে না।